ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দু’টি রেকর্ড করা হয়।
থানা সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম বাদী হয়ে ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে শাহবাগ থানার ২০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বাবু হাসান অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার গুলশানস্থ বাসভবন থেকে বেরিয়ে বাংলামোটরে সিগন্যালের জন্য থামেন। বিকেল আনুমানিক ৫টা ২০ মিনিটে সিগন্যালে থামামাত্রই অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৪০/৫০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি, লোহার রড, আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করেন। তারা খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত দু’টি গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৬৮০৬ এবং ঢাকা মেট্রো ঠ-১৩-২৪৩২ গাড়িতে এবং বাঁশ, গজারির লাঠি, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হিংস্রভাবে হামলা চালিয়ে বহরের গাড়িগুলো ভাংচুর করতে থাকেন। তাদের আক্রমণে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় ও নিরাপত্তাকর্মী আতিক, মেজর (অব.) মঈনুল হোসেন, মেজর (অব.) আব্দুল ওয়াহেদ, মেজর (অব.) আনোয়ার ও লে. (অব.) সামিউল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ আওয়ামীপন্থী সন্ত্রাসী।
ছাত্রলীগের শাহবাগ থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ড ক্রীড়া সম্পাদক বাবু হাসানের এজাহারে বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনিসহ আরও কয়েকজন সেখানে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়ি বেপরোয়াভাবে তাদের ওপর চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে করে তিনিসহ জাকির দেওয়ান, লিটন শেখ মারাত্মক জখম হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মী সিএসএফের সদস্যরা বিএনপির অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন নেতাকর্মী শর্টগান ও লাঠিসোঠা হাতে বেআইনি জনতাবদ্ধ গাড়ি হতে নেমে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলির ভয় দেখান এবং শর্টগানের বাট দিয়ে আঘাত করে।
এজাহারে বাবু হাসান দাবি করেন, সিএসএফ সদস্যরা তার দুই সঙ্গীকে ব্যাপক মারধর করেন এবং সাঈদ খোকনের নির্বাচনী পোস্টার কেড়ে নিয়ে তা ছিড়ে ফেলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এরপরও অংশ নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এদিকে দুই মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োজিত হয়েছেন রমনা থানার এসআই জুয়েল মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
আইএ/এএসআর