ফরিদপুর: চাঁদাবাজির মামলায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবু ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ায় ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মিষ্টি বিতরণ ও কুশপুতুল দাহ করেছেন আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ডিএমপি’র রমনা থানা পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম মিয়া বাবুকে (৪৫) গ্রেফতার করে।
বাবু ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন- এমন সংবাদে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফরিদপুর শহরে আনন্দ মিছিল বের করেন। দুপুর একটার দিকে শহরের থানা রোডের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে কয়েকশ’ নেতাকর্মীর মিছিলটি শহরের মুজিব সড়ক হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সমানে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহমেদ মানু। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কে এম সেলিম, দফতর সম্পাদক সাহেব সরোয়ার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শওকত আলী জাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, ছাত্রনেতা ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বাবুকে গ্রেফতার করায় পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে পার পাওয়া যায় না। পরে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে মোকাররম মিয়া বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মুখার্জীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সকল উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান তদারককারীর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে মোকাররম মিয়া বাবুকে ও মন্ত্রীর এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জীকে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেন মন্ত্রী। এরপর থেকেই জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ওই দু’জনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
আরকেবি/এএসআর