ঢাকা: ‘সন্ত্রাস-নৈরাজ্য রুখে দিয়ে নাগরিক নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার’ করার কথা ছিল সহস্র নাগরিক কমিটি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক ও সাঈদ খোকনের। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ততার কারণে দু’জনের কেউই আসেন নি সেখানে।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমন শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেল সহস্র নাগরিক কমিটি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওই প্যানেল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন। এ দুই প্রার্থীর সহস্র নাগরিক কমিটির ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘সন্ত্রাস-নৈরাজ্য রুখে দিয়ে নাগরিক নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার’ নির্ধারিত অনুষ্ঠান ছিল বিকেল ৫টায়। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে তাদের কেউই উপস্থিত হননি।
বিকেল ৪টা থেকে সেখানে এসে উপস্থিত হন সহস্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামছুল হক, সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ, রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউছুফ বাচ্চু, পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি কামরুল হাসান খান, সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি কেএম শফিউল্লাহ, ইসমত কাদির গামা, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শিক্ষক নেতা আসাদুল হক, শাহজাহান আলম সাজু, চিকিৎসক নেতা ডা. জামাল উদ্দিন, সাঈদ খোকনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ড. আবদুর রাজ্জাকসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
বিকেল ৫টা ১০মিনিটে আবৃত্তি শিল্পি হাসান আরিফের ‘বন্দনা’ কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে শুরু হয় ওই অনুষ্ঠান। পরে ‘আমরা বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলিম’ গান পরিবেশন করে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা। এরপর বক্তব্য দেন সহস্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক শামছুল হক।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন জয়লাভ করবেন, ইনশাল্লাহ। আপনারা তাদের জয়যুক্ত করলে ন্যায় নিষ্ঠার প্রতীক হয়ে থাকবে ঢাকা। আমরা তাদের জয়ে ঢাকাকে মুক্তিযুদ্ধের আলোয় আলোকিত করতে পারলে পুরো দেশ থেকে জঙ্গিবাদের নিপাত হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, তাদের জয়ের মাধ্যমে মূল চেতনাকে জয়যুক্ত করুন। এটা আমাদের প্রার্থনা-মুনাজাত। এরপর শামছুল হকের নেতৃত্বে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
প্রার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন কিন্তু তারা কেন আসেন নি? জানতে চাইলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সহস্র নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের নিয়ে আমাদের এই আয়োজন ছিল। কিন্তু তারা যথাসময়ে আসেন নি। আমরা যোগাযোগ করলে তারা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আমরা বলেছি, এটা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন বাংলানিউজকে বলেন, আমি মেরাদিয়ায় (খিলগাঁও) প্রচারণায় আছি। এখন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যস্ততার কারণে যেতে পারছি না। আমার নির্বাচনী সমন্বয়ক ড. রাজ্জাক সাহেবকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
একই কথা বলেন আনিসুল হক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মোহাম্মদপুরে ট্রাক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। এখানে ৬টি ওয়ার্ড শেষ করতে হবে। ব্যাপক ব্যস্ততা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
এসইউজে/জেডএস