ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন নিয়ে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের নীতিনির্ধারণী বৈঠক চলার সময় হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় কয়েকজনকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
তবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও কবি আব্দুল হাই শিকদারসহ অন্যরা কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা পৌনে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শওকত মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে বসা নিয়ে শুরুতে কয়েকজনের মধ্য একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে এটা তেমন বড় কোনো ঘটনা নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপিপন্থী সাংবাদিক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ারসহ পেশাজীবীরা সিটি নির্বাচনে নিজেদের করণীয়, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন।
তারা জানান, শুরুতে বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের নাম, ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য লিখে রাখতে কয়েকজন পেশাজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা নাম, ঠিকানা লিখতে গেলে আগত কয়েকজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এতে আপত্তি জানান।
এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষকে কলম দিয়ে একে অপরকে আঘাত করতে দেখা যায়। পরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা মিলনায়তন ত্যাগ করে বাইরে চলে যান।
এরপরই মঞ্চে বক্তব্য দিতে আসেন কবি আব্দুল হাই শিকদার। তিনি বলেন, আমাদের অন্তর্কলহ ভুলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই সিটি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫, আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা
একে/আরএম