ঢাকা: ভারতের লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
আগামী ২৯ মে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা গত ৭ মে ভারতের লোকসভায় সীমান্ত বিল পাস করা হয়। এই বিল পাস হওয়ায় ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সমস্যার অবসান ঘটে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অর্জন। আর এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও কূটনৈতিক সাফল্য। দেশের জন্য এই অর্জন ও সফলতা নিয়ে আসায় দেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ জন্য ২০২ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে। এই কমিটিতে শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিকসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, দেশ বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ স্যভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এই সভায় নাগরিক কমিটি গঠন ও সংবর্ধনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ মে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির ২০২ সদস্যের মধ্যে যাদেরকে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ড. ফরাসউদ্দিন, সাংবাদিক রাহাত খান, আবেদ খান, গোলাম সারোয়ার, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, কবি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক, শিল্পি হাসেম খান, মেজর জেনারেল(অব.) কে এম শফিউল্লাহ, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।
যৌথ সভা শেষে মোহাম্মদ নাসিম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। গণসংবর্ধনার জন্য সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে চেয়ারম্যান করে ২০২ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সভায় আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। এই অনুষ্ঠানমালা সফল করতে ইতিমধ্যেই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ নাসিমকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের এ যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
এসকে/আরআই