ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সরকারের ব্যর্থতায় পানি অধিকার আদায় হচ্ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
‘সরকারের ব্যর্থতায় পানি অধিকার আদায় হচ্ছে না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশের পানি অধিকার আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি।

শুক্রবার (মে ১৫) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ আয়োজিত ‘ভারতের পানি আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।



মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৩৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।  

স্থল সীমান্ত বিল পাস করায় ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেবেল রহমান গাণি বলেন, এখন দেখার বিষয় ভারত সত্যিকার অর্থে এই বিল পাস করেছে, না কি জাতি সংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের ভোট পাওয়ার জন্য করেছে। তবে আমরা আশা করবো ভারত চুক্তি মোতাবেক তাদের পাস করা বিল বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর যত সরকার ক্ষমতায় কেউ সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সু-সম্পর্ক থাকায় এটুকু আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যার নিন্দা জানিয়ে জেবেল বলেন, জাতি হিসেবে আমরা দুর্বল নই। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, সম্প্রসারণবাদের কাছে হেরে যাবার জন্য নয়।  

আওয়ামী লীগের ‘দাসসূলভ’ আচরণের কারণে ভারত পানি আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। আমরা শুধু ভারতকে দিয়েই যাব, বিনিময় কিছু পাবো না, তা হতে পারে না।
 
বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে জেবেল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মওলানা ভাসানীর নাম মুছে ফেলা সম্ভব নয়। যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে ততদিন ভাসানীর নাম থাকবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা বাঁধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে। দেশ, জনগণ ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার রক্ষায় তিনি সেই সময় কর্মসূচি দিয়েছিলেন। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটা ছিল প্রথম প্রতিবাদ।

ঢাকা মহানগর ন্যাপের আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম.এম. আমিনুর রহমান, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মো. নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মো. কামাল ভুইয়া, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আনছার রহমান শিকদার, মো. আনোয়ার হোসেন, প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, মো. শামিম ভুইয়া, তোফাজ্জল হোসেন ভানু, মো. বেলাল হোসেন, মো. আবুল কালাম সরদার, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-মাসুম, আবদুল্লাহ কাউছার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা মে ১৫, ২০১৫
এজেডকে/এএইচএফ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।