ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনেছেন, হাসিনা আনছেন বড় অর্জন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনেছেন, হাসিনা আনছেন বড় অর্জন’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বড় বড় অর্জন আসছে।



আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় দলের নেতারা এসব কথা বলেন।
 
শনিবার (১৬ মে) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনাসভায় নেতারা বলেন, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনাকে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি (তখন পদটির নাম ছিল ‘সভানেত্রী’)করা হয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়েছেন। ক্ষমতায় এসে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর স্বাধীন দেশের বড় অর্জনগুলো আসছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

এ সময় তারা ভারতের লোকসভায় সদ্য সীমান্তচুক্তি অনুমোদন বিল পাশের ঘটনাকে শেখ হাসিনা সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগের সফলতা বলে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা সরকারের আরও বহু সফলতার বয়ান তুলে ধরেন তারা। এসবের মধ্য আছে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, ভারতের সঙ্গে গঙ্গাচুক্তি, সমুদ্রসীমা বিজয়, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ গড়ে তোলার কর্মসূচিসহ দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি অর্জনের বিভিন্ন দিক।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাঙালিকে সংগঠিত করে এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা সেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। ‘

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিমানবন্দরে আমার মনে হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু আবার শেখ হাসিনার বেশে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যাবার সময় পাননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যখন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনেক অর্জন এসেছে। অচিরেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
 
সভাপতিমন্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী খালেদা জিয়ার সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনার দলের কমিশনাররা এসে শপথ নিয়ে গেলো। আর আপনি বলেন নির্বাচন বর্জন। আপনার কথা আপনার দলের লোকেরা শোনে না। তারা আপনাকে বর্জন করেছে। আপনার দলকে বর্জন করছে। ‘

সভাপতিমন্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন,  ‘শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দিতে চায়নি জিয়াউর রহমান। জিয়া আমাকে ডেকে বলেছিলেন আসা ঠিক হবে না। শেখ হাসিনা দেশে আসার পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জিয়াকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়েকে(শেখ হাসিনা) আমি পাঠিয়েছি। তার যেনো কোনো ক্ষতি না হয়। ‘

‘ শেখ হাসিনা দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সভাপতির (সভানেত্রীর) দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘

সভাপতিমন্ডলির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু বেশি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। যে গণতন্ত্রের কথা বলে পেট্রোলবোমা মারা হয়, মানুষ হত্যা করা হয় আমরা সেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন সেভাবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। ‘

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিসাব করে চলতে হবে। আমরা ২০১৯ সালে নির্বাচনকে টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছি। এই নির্বাচনেও আমরা বিজয় অর্জন করতে চাই। সেভাবেই সরকার উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি বোমা মেরে, মানুষ পুড়িয়েও সিটি নির্বাচনে ৯ লাখ ভোট পেয়েছে। ৯ লাখ ভোট কম না। ‘

 তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। মাঠে থাকবেন। আমরা ফাঁকা মাঠে খেলতে চাই না। ‘

নাসিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমি নিজে কাজ করেছি। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে নিয়ে হাজী সেলিমের বাসায় গেছি। আমরা মন্ত্রী তাই প্রকাশ্যে কাজ করতে পারিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই কাজ করেছি। ‘

মেয়রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দলের কর্মীদের জন্য নির্বাচনে বিজয় অর্জন করেছেন। তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবেন। ‘

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।   

বাংলাদেশ সময় ২০২৫ ঘন্টা, মে ১৬, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।