ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিদেশে অবস্থানরত শেখ হাসিনার সঙ্গে দুইবার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কিন্তু তিনি তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাসিত জীবন এবং দেশে ফিরে আসার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তখন তিনি এ মন্তব্য করেন।
সূত্র জানায়, এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি যখন নির্বাসনে ছিলাম, তখন ভারতে এবং লন্ডনে অবস্থানকালে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, আমি তার সঙ্গে কথা বলিনি। তার সঙ্গে আমি কী কথা বলবো!
তিনি বলেন, জিয়ার ভূমিকা কী ছিল, সেটা তো আমার জানা। সবাই সেটা জানেন। তিনি আমাকে দেশে আসতে দিতে চাননি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ সময় তিনি ও শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ছয় বছর নির্বাসনে থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
সূত্র জানায়, অনির্ধারিত আলোচনায় এ বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর এ দেশের উন্নয়ন ও মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, সেটা তাকে সমাপ্ত করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আজকে যে স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে, সমুদ্রসীমায় আমরা অধিকার পেয়েছি; এ সব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন। সব কিছুর কাঠামো তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন। অনেক বাধা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সূত্র আরো জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সময়ের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নির্বাচনে টাকার প্রভাবের কথা বলা হয়। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করেছিলেন, সেটি বাস্তবায়িত হলে এ সমস্যা থাকতো না। বঙ্গবন্ধুর সময় তিনটি আসনে ওই ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়েছিল।
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) থেকে প্রার্থী দেওয়া হতো। নির্বাচনে চার/পাঁচ যে কয়জনই প্রার্থী হোক, নির্বাচনে প্রচার থেকে শুরু করে যা যা করা দরকার, সব ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র। জনগণ যাকে পছন্দ করবে, তিনিই নির্বাচিত হবেন।
এ অনির্ধারিত আলোচনায় আগামী ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঢাকা সফরে আসার বিষয় নিয়ে কথা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সামনে দুটি বড় বিষয় রয়েছে। ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা আসছেন এবং কাছাকাছি সময়েই বাজেট পেশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এসকে/এমআইএইচ/এবি