ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৫
হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালিতে ঢাকা মহানগরের থানা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।



শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিজয় র‌্যালির আয়োজন করে। গত ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে এ বিজয় র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

র‌্যালিতে অংশ নিতে দুপুর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে এসে সমবেত হতে থাকেন। এখানে র‌্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল সাড় ৩টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিজয় পেয়েছি, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশের যত বড় বড় অর্জন এসেছে সব শেখ হাসিনার হাত দিয়েই। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা মানে গণতন্ত্র। শেখ হাসিনার সময়ই বাংলাদেশের সব অর্জন এসেছে। তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন।

সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পিতার হাতে রচিত, কন্যার হাতে সম্পাদিত। এটা বিরল অর্জন।

এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আপনি মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। আপনি নিজেই পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, স্বাধীনতা থাকবে। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর নেতা একেএম রহমতউল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে র‌্যালি শুরু হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, বিশাল বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। ট্রাক, মোটর সাইকেল, ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে কর্মীরা র‌্যালি নিয়ে অগ্রসর হতে থাকেন। এ সময় তারা ঢাক-ঢোল, ব্যান্ড সংগীত বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। র‌্যালিতে জামায়াত-শিবির, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিতে থাকেন কর্মীরা।

র‌্যালিতে ঐতিহাসিক ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সফলতা, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় এবং বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়গুলোও যুক্ত করা হয়।

র‌্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৫
এসকে/এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।