ঢাকা: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নতুন কমিটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। দুই নগর কমিটিতে কে কোন পদ পেতে পারেন এ নিয়ে নানা গুঞ্জনও চলছে।
বিশেষ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে তারা বাদ পড়তে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করে নতুন কমিটি দেয়া হবে। গত মাসে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের পর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে মহানগরের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এই দুই মহানগরে কারা নেতৃত্বে আসছেন বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। মহানগরের কোনো কোনো নেতা ও দলীয় এমপির বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযুক্তরা নতুন কমিটিতে আসতে পারবেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। এর ফলে কেউ কেউ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যেও পড়েছেন বলে মহানগরের নেতারা জানান।
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গত ১৬ মে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় দুই একজন নেতার বক্তব্যেও এ বিষয়টি প্রকাশ পায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সিটি নির্বাচনে ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। সবাই কাজ না করলে দল সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারতো না।
এ সভায় নাসিমের বক্তব্যের আগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মুক্তিয্দ্ধু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় দলে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
মায়া বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলছেন। যারা দলের জন্য কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে। সমালোচকরা দলের ক্ষতি করতে চায়। আমি মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকাকে মুক্ত করেছি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় নেত্রীকে(শেখ হাসিনা) রক্ষার চেষ্টা করেছি। সুধাসদন পর্যন্ত নেত্রীর সঙ্গে গিয়ে তাকে সেখানে পৌছে দিয়েছি।
মায়ার বক্তব্যের আগে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম বলেন, আজ অনেকেই অনেক কথা বলছেন। আমি দলের নেতা হতে পারলাম কি পারলাম না সেটা বড় কথা না। আমি আওয়ামী লীগে আছি, থাকব। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাবো। পদ নেয়ার জন্য আমি আওয়ামী লীগ করি না।
এদিকে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এ দুই নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনা রয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, মুকুল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন, শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল, একেএম রহমত উল্লাহ, শেখ বজলুর রহমান, আসলামুল হক আসলামের নাম নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে।
আবার যারা বর্তমানে অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন বিভক্ত মহানগরের কমিটিতে না রেখে তাদেরকে আগামীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তুলনামুলক বড় পদে নেয়া হতে পারে বলেও নেতাকর্মীর মধ্যে আলোচনা রয়েছে। এদের মধ্যে এমএ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নাম বেশি আলোচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
এসকে/জেডএম