ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সোমবার আদালতে নেওয়া হচ্ছে সালাহ উদ্দিনকে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
সোমবার আদালতে নেওয়া হচ্ছে সালাহ উদ্দিনকে! সালাহ উদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেসে (নেগ্রিমস) চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ সোমবার (২৫ মে) আদালতে নেওয়া হতে পারে।
 
চিকিৎসকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেলে এদিন সকাল ১০টায় মেঘালয়ের আদালতে সালাহ উদ্দিনকে হাজির করতে চায় শিলং পুলিশ।


 
নেগ্রিমস হাসপাতালের একটি সূত্র রোববার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে শিলং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলছেন।
 
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের (শিলং পুলিশ) জানিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সী বিএনপির এই রাজনীতিকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল। পরিস্থিতি এই রকম থাকলে সোমবার সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করা যেতে পারে।
 
তবে সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী এসপি মোহান্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তার মক্কেলকে আদালতে নেওয়ার বিষয়ে কিছুই তিনি জানেন না। চিকিৎসকরা অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে আদালতে নিতে পারে।
 
এদিকে সালাহ উদ্দিনকে আদালতে নেওয়ার ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মেঘালয়ের পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা প্রকাশ্যে কিছুই বলতে চাচ্ছেন না।
 
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সালাহ উদ্দিনের এই মামলা নিয়ে যতই দেরি হবে, পুলিশের জন্য জটিলতা ততই বাড়বে।
 
মেঘালয় পুলিশ বিএনপির এই নেতাকে আদালতে নিতে চায় এবং তদন্ত করে বের করতে চায়, কিভাবে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে ঢুকলেন।
 
যদিও সালাহ উদ্দিন দাবি করেছেন, গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে একদল ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। এরপর কিভাবে তিনি শিলং এলেন, তার কিছুই তিনি মনে করতে পারছেন না।
 
 শিলং পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সালাহ উদ্দিনের হৃদযন্ত্র ও কিডনির কিছু সমস্যা রয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে। অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিতে পারেন।
 
এর আগে সালাহ উদ্দিন আহমেদের জামিন চেয়ে গত শুক্রবার (২২ মে) শিলংয়ের আদালতে একটি আবেদন জমা দেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। আবেদনে তিনি বলেছেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সালাহ উদ্দিন ভারতে প্রবেশ করেননি। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।  
 
ওই আবেদন আমলে নিয়ে ২৯ মে এর শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।
 
অনির্দিষ্টকালের অবরোধের মধ্যে গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
 
এর পর দুই মাস দুই দিন পর গত ১২ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের মিমহ্যানস্ হাসপাতাল থেকে স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে ফোন দিয়ে জানান, ‘তিনি বেঁচে আছেন’।
 
এদিন শিলং পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ১১ মে সকাল বেলা শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকায় স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিধ্বস্ত চেহারা ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ্ (মিমহ্যানস) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
এর পর দুই দফায় হাসপাতাল পরিবর্তন করে প্রথমে শিলং সিভিল হাসপাতাল ও সর্বশেষ শিলং নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) ভর্তি করা হয়।
 
স্বামীর সন্ধান পাওয়ার পাঁচ দিন পর ১৭ মে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাসিনা আহমেদ। পরের দিন শিলংয়ে পৌঁছে স্বামীর জামিনের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। সর্বশেষ শুক্রবার স্বামীর জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন হাসিনা আহমেদ।
 
বাংলাদেশ সময় ০৫১২, মে ২৫, ২০১৫
এজেড/কেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।