ঢাকা: ‘দেশের এখন এমন পরিস্থিতি যে, পুলিশ ধর্ষণকে দুষ্টামি বলছে। পুলিশের এমন উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরই দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
সোমবার (মে ২৫) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘নারীর ওপর যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলো’ শীর্ষক ছাত্র গণবিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণের দিন সন্ত্রাসীরা সংগঠিতভাবে নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। উল্টো পুলিশ বলছে, ‘কিছু ছেলে সেখানে দুষ্টামি করেছে’।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার এতোটাই জনবিচ্ছিন্ন যে, এ দেশের হতদরিদ্র জনগণের খোঁজ রাখে না। মানব পাচারের সঙ্গে সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রথম সারির ব্যবসায়ীরা জড়িত। কিন্তু সরকার নির্বিকার।
যারা মানসিকভাবে অসুস্থ, তারাই বিদেশে পারি জমায় -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশের কৃষকরা তাদের ফলনের ন্যায্য দাম পায় না। গ্রামের যুবকদের বেকারত্বের গ্লানি নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। আর এসব কারণেই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছে।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে সাকি বলেন, শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করা হয়েছে। আর এটা চালু রাখার জন্যই সরকারের নির্দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সরকারের এ নীতি কার্যত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে আমার দেশে টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। আর সেই টাকায় দুর্নীতিবাজরা সেকেন্ড হোম তৈরি করছে। আর দেশের মানুষ না খেয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
আবার নতুন করে ছাত্র আন্দোলন দরকার মন্তব্য করে সাকি বলেন, এ সাংবিধানিক স্বৈরশাসনকে উৎখাত করতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আল জাহিদ, মিজানুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি পিন্টু হাউই, চানচিয়া’র সমন্বয়ক অ্যানথোনি রেমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
এসজেএ/এসকেএস/আরএম