ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি চূড়ান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি চূড়ান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাগরিক সংবর্ধনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা ও অর্জনের জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।



শুক্রবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সংবর্ধনা দিতে এর আগে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ২০২ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।

বুধবার (২৭ মে) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এ জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরা হয়।

এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক জানান, নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে কথা বলবেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল, শক্তি ও মানুষকে এ অনুষ্ঠানকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে উৎসবের একটি মর্মসঙ্গীত রচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এ সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। এরপর অভিজ্ঞানপত্র পাঠ ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সব শেষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন।

পুরো অনুষ্ঠানটি দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে ও লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রেখে মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সৈয়দ শামসুল হক আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটি একটি মানবিক অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়, জঙ্গিবাদ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জন হয়েছে। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগের তুলনায় দেশ সত্যিকার অর্থেই অগ্রগতি, উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনার এ অবদানের স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, শিল্পী হাশেম খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসির মামুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএফইউজে’র সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মোহাম্মদ আবদুস সামাদ প্রমুখ।  

এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, কেউ প্রচার চালাতে চাইলে নিজ এলাকায় চালাবেন, সেখানে পোস্টার লাগাবেন। সংবর্ধনাস্থলে কোনো ব্যানার আনবেন না, স্লোগান দেবেন না। প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে আমরা জাতিকে জানাতে চাই, আওয়ামী লীগকে দিয়ে সব কিছু সম্ভব।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমরা একটি সৃষ্টিশীল সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যাতে দেশ-বিদেশের মানুষ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজি সেলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় ২০৪৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
এসকে/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।