ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবে এবার হচ্ছে সমঝোতার কমিটি। এই সমঝোতার এক পক্ষে থাকছেন আওয়ামী লীগ, অপরদিকে থাকছেন বিএনপির রাজনীতিতে বিশ্বাসী প্রেসক্লাব সদস্যরা।
দৃশ্যপট থেকে জামায়াতকে সরিয়ে সমঝোতার কমিটি গঠনের জন্য মিটিং চলছে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে। ওই মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন আমানুল্লাহ কবির ও খন্দকার মনিরুল আলমের মতো বিএনপির মতাদর্শে বিশ্বাসী সিনিয়র সাংবাদিকরা।
সমঝোতার ভিত্তিতে তারা ১৭ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
একাধিক সূত্র বলছে, চলমান বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থক সভাপতি ও বিএনপি সমর্থক সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সমঝোতার এই কমিটি ঘোষণা হবে।
এদিকে জামায়াত সমর্থক ও জামায়াত ঘেঁষা বিএনপি সমর্থকদের বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে দেখা যায়নি।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ তার কক্ষ থেকে ফাইলপত্র সরিয়েছিলেন বুধবার রাতেই। বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদও এসে তার ফাইলপত্র নিয়ে গেছেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই মিটিং শেষে সমঝোতার কমিটি ঘোষণার জোর প্রস্তুতি চলছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী বিএনপির সমর্থকদের দখলে ছিলো জাতীয় প্রেসক্লাব। নতুন সদস্য পদ দেওয়া থেকে শুরু করে সব পর্যায়েই তাই জামায়াত-বিএনপি সমর্থকদেরই প্রাধান্য ছিলো। আর দলীয় রাজনীতির সংকীর্ণ চিন্তা থেকে অনেক অপেশাদার, অযোগ্য ও সাংবাদিক নামধারীকে দেওয়া হচ্ছিলো সদস্য পদ। এভাবে নিজেদের পক্ষের লোকজনকে সদস্য করে ভোট বাড়িয়ে প্রতি নির্বাচনেই জিতে আসছিলো জামায়াত-বিএনপি প্যানেল।
এমনকি যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লা ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও সদস্য পদ দেওয়া হয়েছিলো প্রেসক্লাবে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ উন্মুক্ত করার দাবি বেশ জোরালো হয়ে উঠেছিলো কিছু দিন ধরে। গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও কথা ছিলো ২৯ মে। কিন্তু মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থী ঘোষণার দিনে নির্বাচন কমিটি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে পুরনো কমিটিই দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
শেষ পর্যন্ত সমঝোতার কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
জেডএম/