ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
শুক্রবার (২৯ মে) তার বাসভবনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে অলি এ অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যার সঙ্গে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরাসরি জড়িত ছিলেন। কারণ, জিয়া হত্যার দুই দিন আগে তিনি চট্টগ্রাম সফর করেন। জিয়াকে হত্যার পর মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর, লে. কর্নেল মাহাবুব ও লে. কর্নেল মতিউর রহমানকে খুব ঠাণ্ডামাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় এরশাদের নির্দেশেই। কারণ তারা বেঁচে থাকলে মূল ষড়যন্ত্রকারীর নাম প্রকাশ পেতো।
এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, গোলাগুলির শব্দ পেয়ে রুম থেকে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাকে (জিয়াউর রহমান) গুলি করা হয়। ওই রুমে ছিলেন প্রেসিডেন্টের ডাক্তার তৎকালীন লে. কর্নেল মাহতাব উদ্দিন। তার কাছ থেকে এ তথ্য পেয়েছিলাম। ৩০ মে রাতের শেষভাগে জিয়াউর রহমানকে হত্যা হয়।
স্মৃতিচরণ করে অলি আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমানের শুধু সঙ্গেই ছিলাম না, এক রুমে ঘুমিয়েছিও। এক কথায় বলতে গেলে তিনি ছিলেন সফল রাষ্ট্রনায়ক, সফল প্রশাসক, সফল সেনানায়ক, সফল রাজনৈতিক। তিনি চেষ্টা করেছেন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। তার ছিল দেশেপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা, মানুষের প্রতি ভালবাসা।
তিনি আরও বলেন, জিয়ার হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে আরও ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়। এদের মধ্যে অনেকেই জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আদৌ জড়িত ছিলেন না। এরশাদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য যারা পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন, তাদের চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তখন অনেকেই চেষ্টা করেছেন ১১ জনকে ফাঁসি না দিয়ে যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই ১১ জন অফিসার বেঁচে থাকলেও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ পেতো।
সন্ধ্যায় এলডিপি চেয়ারম্যানের প্রেসসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
এইচএ/