ঢাকা: শনিবার (৩০ মে) বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সৈনিকদের হাতে নিহত হন তিনি।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
শনিবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় তার সঙ্গে শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এরপর মানিক মিয়া এভিনিউ, মোহম্মদপুর টাউন হল ও নয়াপল্টনসহ রাজধানীর ২৪টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নয়াপল্টনে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ফ্রি ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয়তাবাদী ওলামাদল জিয়ার কবরে কোরআন খানির আয়োজন করবে। সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দলের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের আলোকচিত্র সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার প্রকাশ প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী থানার বাগবাড়িতে তার নানাবাড়িতে জন্ম নেন। তার পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে তিনি পিতার সঙ্গে কলকাতায় ও দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৫৫ সালে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
১৯৭৫ সালে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
এজেড/এসএস