ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ট্রাফিক জ্যামে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
ট্রাফিক জ্যামে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ছবি : সোহাগ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি বলেছেন, এটা শেখ হাসিনার ডিজিটাল ছাত্রলীগ নয়।

এমন ছাত্রলীগ আমরা চাই না।

শনিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০১৫’তে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সংলাপের আহবানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যখন স্থলসীমানা চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তদবির চালাচ্ছি বা কাজ করে যাচ্ছি তখন আপনারা বাংলাদেশে পেট্রোল বোমায় মানুষ মেরেছেন। তখন আমরা বলেছিলাম, মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। আপনারা কী বন্ধ করেছিলেন?
‘তারপরও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে গণতন্ত্রের স্বার্থে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে যেকোনো সময় যে কারো সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত’- বলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার প্রথম যৌবনের প্রেমের নাম ছাত্রলীগ। এই চেহারায় ছাত্রলীগকে দেখতে চাই না। এই ছবি-চেহারা পরিবর্তন করতে হবে। স্লোগান দিয়ে কমিটি হবে না। সম্মেলনগুলো সময়মতো করো। সম্মেলন না হওয়ায় এই যে ট্রাফিক জ্যাম লেগে গেছে। অনেক কর্মী নেতা হতে পারেন না।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ২২ বছর ডাকসুর সম্মেলন নেই। ৪৪ জন ভিপি-জিএস হতে পারতেন। আমি জানি না কেন এই নির্বাচন হয় না! ছাত্রলীগের সম্মেলন সময়মতো করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করবো। তাহলে নেতৃত্বে ট্রাফিক জ্যাম হবে না।
 
ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, পোস্টারে-ছবিতে এখন অনেক নেতা। বিলবোর্ডে নেতার কোনো শেষ নেই। সেই সিকি-আধুলি নেতা! অসংখ্য নেতা এখন। আমি আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে গিয়ে নতুন দিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত রাস্তার কোথাও কোনো রাজনৈতিক নেতার ছবি সম্বলিত একটা বিলবোর্ডও দেখিনি। একটা পোস্টার, একটা ব্যানার দেখিনি।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে আমাদের বাই লেটেরাল পার্টনারশিপ এখন চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। কাজেই এ পার্টনারশিপ আমাদের জনগণের স্বার্থে নতুন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। সব কিছু সময় দিয়ে হয় না। আমি যদি বলি, তিস্তা পানির বণ্টন অমুক সময় হবে, এটা হবে না। সময় দেবো না, প্রক্রিয়াগত কিছু বিষয় আছে। সেগুলো শেষ হলে তখনই এ চুক্তি হয়ে যাবে। এখানে আর কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত ট্যানেল নিয়ে আগামী ১৮/১৯ জুন চীনের বেইজিংয়ে চুক্তি হবে। উত্তরবঙ্গে যমুনা নদীর নিচে আরেকটি ট্যানেল নির্মাণের পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি, হচ্ছে। পদ্মাসেতু আমূল পরিবর্তন আনবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দরিদ্র জাদুঘরে চলে যাবে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড অপসারণে সকল দলের সহযোগিতাও চান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড অপসারণের। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। ঢাকার দুই মেয়র ও আমি সড়কমন্ত্রী আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। এ বিলবোর্ডের জন্য আমরা আকাশ, আকাশের চাঁদ দেখি না। এ বিলবোর্ড থেকে আমাকে মুক্তি পেতে হবে। সৌজন্য ব্যানার-পোস্টার সবই আছে, শুধু সৌজন্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। কাজেই রাজনীতিতে ছাত্রলীগ সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনবে সেটাই আমি প্রত্যাশা করবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিস-উজ-জামান রানার পরিচালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগ সভাপতি এএইচ বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সহ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫ আপডেটেড: ১৮২০ ঘণ্টা
এসইউজে/আইএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।