ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবকে বিএনপি কখনই জাতীয়তাবাদী প্রেসক্লাব বানাতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
মঙ্গলবার (০২ জুন) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের জটিলতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিপন বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই প্রতিষ্ঠানটির গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। বিএনপি ভাগাভাগির রাজনীতিতে কখনই বিশ্বাস করে না। তাই আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবকে ভাগাভাগি করে নিতে চাই না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থপনা কমিটি নিয়ে বিরোধ-বিভেদ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। আমরা শুনেছি সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিকরা মিলে একটি কমিটি গঠন করে নির্বাচিত কমিটিকে সরিয়ে দিয়েছেন। আমরা যেমন এটাকে জাতীয়তাবাদী প্রেসক্লাব হিসেবে দেখতে চাই না, তেমনি আওয়ামী প্রেসক্লাব হিসেবেও দেখতে চাই না। আমার ভাগাভাগি করে কিছু চাই না। আমরা এটাকে জাতীয় প্রেসক্লাব হিসেবেই দেখতে চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচিত কমিটিকে সরিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে। এতে আবারও প্রমাণিত হয়, সরকার জলাতংক রোগের মত ভোটাতংকে ভুগছে। আমরা জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচনের মাধ্যমেই নেতৃত্বে দেখতে চাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখতেন। স্বৈরাচার এরশাদের সময় ৩১জন বুদ্ধিজীবীর একটি বিবৃতি স্বৈরাচারের ভেতর কাঁপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখন ৩১শ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতিও রাজনীতি বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে না। এখন দেশে কার্যত সুশীল সমাজ বলে কিছু নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, প্রেসক্লাবের কমিটিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির যারা রয়েছেন, তাদেরকে আমরা বিএনপির লোক বলে ভাবতে চাই না। কারণ দেশের প্রধান বিচারপতি বা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও যখন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে যান, তখন তারাও কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলকেই ভোট দেন। কিন্তু তা কোনো ধর্তব্যের বিষয় নয়। সাংবাদিকদের আমরা সাংবাদিক হিসেবেই দেখতে চাই। সেখানে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি তা তার মতাদর্শ থাকতেই পারে কিন্তু জাতীয় প্রেসক্লাবে যেন কোনো রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হয়ে না উঠে।
জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিপন বলেন, যেখানে বাজেট ঘোষণা করা হবে, সেটা কি জনগণের নির্বাচিত সংসদ? এ সংসদে জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। তাই ওই সংসদে কি পেশ করা হলো, তা নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জে হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম তোফা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৫
এমএম/বিএস