খুলনা: দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর পর খুলনায় হতে চলছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন। সোমবার (৮ জুন) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের চূড়ান্ত লবিং। নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা খুলনা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। স্থানীয় শীর্ষ নেতারা তাদের স্ব-স্ব দলীয় অবস্থান শক্ত রাখতে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর জন্য লবিং-গ্রুপিং করছেন।
সম্মেলনকে ঘিরে শহরের প্রধান সড়কগুলো ছেয়ে গেছে রঙ-বেরঙের পোষ্টার-ফেষ্টুনে। অতিথিদের ছবি সংবলিত বিশাল আকৃতির বিল বোর্ড ও তোরণ শোভা পাচ্ছে নগরীর মোড়ে মোড়ে। পদ প্রত্যাশীদের দৌড়-ঝাঁপ, প্রার্থীর পক্ষে সমর্থকদের মিছিল ও শ্লোগানে সমগ্র নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, সহ-সভাপতি তাজমুল হক তাজু ও সোহাগ হাওলাদার মুজিব।
সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল কবির অমি, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আলিমুল জিয়া, স্কুল ছাত্র সম্পাদক শেখ আসাদুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক নিশাদ ফেরদৌস অনি, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, অর্থ সম্পাদক সজল বাড়ৈ ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণ হাওলাদার।
মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ সুজন বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠনের সুখে-দুখে সব সময়ই আমি দলের হয়ে কাজ করেছি। আশা করছি ছাত্রলীগের হাইকমান্ড আমার সাংগঠনিকভাবে দক্ষতা ও নেতৃত্বসম্পন্ন গুণাবলীকে মূল্যায়ন করবেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কেন্দ্রীয় সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ছাত্র রাজনীতি করছি। দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। আন্দোলন সংগ্রামের ত্যাগ মূল্যায়ন করা হলে আমি নির্বাচিত হবো।
অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল কবির অমি বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ একটি বড় সংগঠন। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও বেশি। তবে নেতাদের মেধা, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করলে আমি অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক হতে পারবো।
দলীয় সূত্রে জানা য়ায়, নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক ময়দানে সোমবার ৮ জুন সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
কাউন্সিল অধিবেশন বিকাল ৪টায় একই স্থানে হওয়ার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১০ সালের ২ অক্টোবর দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পীকে সভাপতি ও শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১২ সদস্যের নগর ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক কমিটি করা হয়েছিলো। ২০১২ সালের ৪ জুন কেন্দ্রীয় কমিটি ১১৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এমআরএম/বিএস