খুলনা: খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
মহানগর ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সোমবার (০৮ জুন) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ তাদের নাম ঘোষণা করেন।
কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে সভাপতি এবং এস এম আসাদুজ্জামান রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
বাকি পদগুলোর নাম ঢাকা গিয়ে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানায়।
এর আগে দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক আর খালেদা জিয়া সন্ত্রাস আর উগ্র মৌল জঙ্গিবাদীদের পৃষ্ঠপোষক। খালেদা জিয়া দেশকে পিছিয়ে নিতে দেশব্যাপী নৈরাজ্য আর নাশকতা করে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারেন আর শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য তাদেরকে রক্ষা করতে পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগঠন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে এই সংগঠনের মাধ্যমে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান, ৭০-এর নির্বাচন হয়। যার শেষ হয় ৭১-এর স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এ দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছিলো। সুতরাং ছাত্রলীগে কোনো অছাত্র, অনুপ্রবেশকারী, মাদক ব্যবসায়ী, দখলবাজ আর টেন্ডারবাজের স্থান হবে না। যারা নিয়মিত ছাত্র তারাই হবেন ছাত্রলীগের নেতা।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক অসিত বরণ বিশ্বাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ।
সম্মেলন শুরু থেকেই নগরীর ৩৬টি ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে ব্যানার প্লাকার্ড নিয়ে সম্মেলনস্থলে সমবেত হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শহীদ হাদিস পার্ক স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর