ঢাকা: বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান ও নেতাকর্মীদের আটকের মধ্য দিয়ে মহাজোট সরকার তার স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী মুখোশ খুলেছে বলে অভিযোগ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার।
সোমবার (০৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের নির্মল সেন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সাইফুল হক, মোশাররফ হোসেন নান্নু, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, হামিদুল হক, ইয়াসিন মিয়া ও অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
এ সংবাদ সম্মেলনে, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ৬ জুনের সমাবেশে পুলিশের হামলা, সমন্বয়ক মোশরেফা মিশুকে হয়রানি ও কর্মীদের আটকের প্রতিবাদে ৯ জুন দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করেন তারা।
নরেন্দ্র মোদির সফরে ২২টি সমঝোতা স্মারক ও দলিল স্বাক্ষরের সমালোচনা করে বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে তা বাস্তবায়নের পূর্বে দেশের জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে। জনগণের সম্মতি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, চুক্তিগুলোতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভারতকে ট্রানজিটের নামে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত একাধিক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি রয়ে গেছে অমিমাংসিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তের তিন দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্য কোনও অর্থবহ চুক্তি ও সমঝোতাও হয়নি।
মোশরেফা মিশু বলেন, বাংলাদেশের আইন বহির্ভূত ভারতের দুটো কোম্পানি আদানি ও রিলায়েন্স প্রায় পাঁচহাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পিডিবির সাথে সমঝোতা চুক্তি করেছে। এই চুক্তি বাংলাদেশকে বিদ্যুতের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
এসইউজে/এসইউ