ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি তাদের পুরনো পরিচয়কে গোপন করার চেষ্টা করেছিল। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে দলটি আবার ভারত বিরোধিতার পুরনো রূপে ফিরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে দলের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, অনুনয়-বিনয় করে মোদির সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং মোদিকে অভিনন্দন জানান। এতে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনাই প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপি তাদের পুরনো পরিচয়কে গোপন করার চেষ্টা করলেও নরেন্দ্র মোদির ফিরে যাওয়ার পরের দিন বিএনপির জোট ও সঙ্গী জামায়াত এই সফরের বিপক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বিএনপি নেতারাও তাদের পুরনো চরিত্র অনুযায়ী, এ সফর সম্পর্কে অসংলগ্ন কথাবার্তা অব্যাহত রেখেছেন।
মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেখানেও নরেন্দ্র মোদির সফল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সফরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য হলো- ভারত বিরোধীতা এবং জঙ্গি-মৌলবাদ পোষণ। সে কারণে খালেদা জিয়া দেখা করার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ভারত কখনো প্রশ্রয় দেয় না এবং দেবেও না। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত কাজ করবে।
এ কথা শোনার পরে বিএনপি হতাশ হয়ে নরেন্দ্র মোদির সফরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পথ বেছে নিয়েছে। যে চুক্তিগুলো হয়েছে, সেগুলোর প্রশংসা না করে তিস্তা চুক্তিসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেছেন, সীমান্তচুক্তির মতো তিস্তা চুক্তিও অবশ্যই হবে। তিনি শুধু একটু সময় চেয়েছেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও জিরো টলারেন্সের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করায় বিএনপির গাত্রদাহ হয়েছে।
ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মূলত নরেন্দ্র মোদি এ কথার মধ্য দিয়ে বিএনপি এবং তার মিত্রদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা (বিএনপি) যে পেট্রোল বোমা মেরে, মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে, এগুলোকে ভারত কখনোই সমর্থন করে না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাম, উপদফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
এসকে/এটি/এবি