ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যত্র স্থাপনের আহ্বান বিএনপির

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যত্র স্থাপনের আহ্বান বিএনপির ড. আসাদুজ্জামান রিপন

ঢাকা: সুন্দরবনের রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করার আহবান জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন,  রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। সেখানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

  সেটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়, উপরন্তু সেটা সবার জন্য লজ্জাজনক হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. রিপন বলেন, জুন মাসে ইউনেস্কো জরিপ করবে। সে জরিপে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ গেলে জাতির জন্য সেটা হবে লজ্জাজনক। তাই আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রর বিরোধিতা করছি না। অন্যত্র যে কোনো সুবিধাজনক জায়গায় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অনেক জায়গা পাওয়া যাবে, কিন্তু অনেক সুন্দরবন পাওয়া যাবে না।
 
এসময় জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নিজের এলাকায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরমর্শ দেন ড. রিপন।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার একগুঁয়ে ভাব ধরে সুন্দরবনের কাছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক পরিবেশবিদরা সুন্দরবনের কাছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি বিএনপির সঙ্গে দেশের বাম দলসহ সুশীল সমাজের লোকেরাও সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করার আহবান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকার কারও কথা শুনছে না।

সরকার জনগণের পকেট কাটার জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দেশ ও জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকার তাদের একগুঁয়ে অবস্থান থেকে সরে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান,  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
এমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।