ঢাকা: ভারত ভীতি ও প্রীতি বিএনপির দ্বৈত নীতি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত ঢাবি ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এতদিন আমাদের ভারতীয় এজেন্ট বলে গালাগাল দিত, এখন দেখা যাচ্ছে তারাই ভারতের এজেন্ট হওয়ার জন্য মোদির দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছে।
বিএনপির আন্দোলন তর্জনগর্জন সার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এবছর-ওবছর, রোজার ঈদ, কোরবানীর ঈদ, পরীক্ষা সবই গেল তবু তাদের মরা গাঙে জোয়ার আসে না।
‘এ বছর না, ওই বছর মানুষ বাঁচে কয় বছর’ বলেও বিএনপিকে বিদ্রুপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনাকে জননেত্রী ও দেশরত্ন উপাধিতে ছাত্রলীগই প্রথম ভূষিত করেছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগই প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল বের করে। ছাত্রলীগ যা আজ বলে, অন্যরা তা কাল বলে, ছাত্রলীগই পথ দেখায়। ছাত্রলীগ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি। একই সঙ্গে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার পেছনে কিছু শিক্ষকদের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি।
সমুদ্রজয়, সীমান্ত জয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীকে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিক, কূটনৈতিক বলে অভিহিত করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন নেতিবাচক সংবাদের সমালোচনা করেন।
ছাত্রলীগে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও সিন্ডিকেট নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, সাংবাদিকের কলমকে ভয় পায় না।
ছাত্রলীগকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের আগে সংগঠনটির অতীত ইতিহাসের দিকে সাংবাদিকদের দৃষ্টিপাত করার আহ্বান জানান নাজমুল।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
এইচআর/আরএম
** ‘খালেদা জিয়াকে বাদ দিলে দেশ জঙ্গিমুক্ত থাকবে’