ঢাকা: ক্ষমতার জন্য সরকার তিস্তা চুক্তি না করে ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
শুক্রবার (১২ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে একটি শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিনের স্মরণে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিস্তা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, তিস্তায় পানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা আশা করেছিলাম, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হবে। কিন্তু সেটি হলো না। আসলে সরকার ক্ষমতার জন্য ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে।
সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে নোমান বলেন, ২০ দলের সবার দর্শন এক নয়। আমাদের মধ্যেও পার্থক্য আছে। তবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা এক হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীদের ওপর ফ্যাসিবাদী কায়দায় আক্রমণ চালানো হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
নোমান বলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমার ভাষাও হবে রাজনৈতিক। আমাদের শক্তি ব্যালট, বুলেট নয়। বর্তমানে স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান অবলম্বন অস্ত্র ও আইন লঙ্ঘন করা। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি ও গুম করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অনেক যুবক গুম হয়েছে।
আমাদের সমর্থন আরও বেড়ে গেছে। বিজয়ী হতে পারি না তার একটাই কারণ, আমরা হাতে বন্দুক নিতে পারি নাই। তবে ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণ বেশি দিন মেনে নেবে না। সরকারের পরাজয় একদিন হবেই। যেদিন পরাজয় হবে সেদিন থেকেই সরকারকে মুখ লুকিয়ে থাকতে হবে, বলেন তিনি।
বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোটেক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অনেকে বলেন, বিএনপি নাকি আত্মসংকটে ভোগেন। আমি তাদের বলতে চাই, বিএনপি কোনো দিনই আত্মসংকটে ভোগেনি। বরং এ সরকারের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ারা আত্মসংকটে ভুগছেন। এদের নিজস্ব কোনো পরিচয় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেখা যাবে, কে আত্মসংকটে ভুগছে।
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করছে। এরপরও হাসিনা সরকার বিএনপির কোনো কর্মীকে খরিদ করতে পারেনি। আসলে আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো আইডি কার্ড নেই। তারা আসল কার্ড ইসিতে জমা দিয়ে নকল কার্ড নিয়ে ঘুরছে। বিএনপির
আসল আইডি কার্ড রয়েছে, বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাষাসৈনিক এম এ গফুর, এলডিপি’র মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, মুসলীম লীগের সভাপতি নুরুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
এমএম/আরএম