ঢাকা : গণতন্ত্রবিরোধী ও জঙ্গীবাদের লালন-পালনকারীরাই গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নূরুল ইসলামকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে হাসপাতালে নরুল ইসলাম নিজেও এ কথা পরিস্কারভাবে বলে গেছেন।
মতিয়া চৌধুরী শুক্রবার সকালে কচি-কাঁচা মিলনায়তনে নুরুল ইসলামের ৬৮তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। প্রয়াত এই নেতার হত্যার ঘটনার তদন্ত স্বচ্ছভাবে পরিচালনা ও বিচারের দাবিতে নুরুল ইসলাম স্মরণে নাগরিক কমিটি এই সভার আয়োজন করে।
গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম ২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ছেলে ইসলাম তমোহরসহ নিজ বাসভবনে রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘নূরুল ইসলামের মৃত্যু স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তারা জেনে বুঝেই তা করেছে। হত্যাকারীরা কোনো আলামতও রেখে যায়নি। এরপরও সন্দেহের তীর কারো না কারো প্রতি যে নিপে হচ্ছে না- তা নয়। ’
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেে যত দ্রুত সম্বব নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘তিনি মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। সব মনোনয়নেরই পতিপক্ষ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তাকে মিথ্যা ব্যাংক ডিফল্ডার করা হয়েছিলো। বাস্তবে যার কোনো অস্থিত্ব ছিলো না, এটা সন্দেহজনক। ’
সুরঞ্জিত বলেন, ‘যারা এই মৃত্যুর তদন্ত করেনি, তাদের হয়তো কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এরপরও এই মামলার তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নির্বাচন হবে কী হবে না- এ নিয়ে যখন সংশয় ছিল, ঠিক তখনই নুরুল ইসলামের মৃত্যু ঘটে। এভাবে যদি রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের বিচার না হয়, তাহলে দেশে আরো হত্যাকান্ড ঘটবে। নির্বাচনের মনোনয়ন তার মৃত্যুর কারণ কী-না সেটা ভাবতে হবে। ’
মেনন বলেন, ‘মুত্যুর আগে হাসপাতালে তিনি নিজেও তার নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে কী-না সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। ’
মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৭.৫০, জুলাই ৩০, ২০১০