ঢাকা: দু’একজনের কঠোর শাস্তি দিলে ভেজাল মেশানো বন্ধ হবে। ভেজাল খাদ্য ও ওষুধে মানুষকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদের আইপিডি কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণের বিরুদ্ধে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে জাতীয় পার্টি (জাপা) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। রওশন এরশাদ বলেন, আমরা প্রতিদিনই বিষ খাচ্ছি। আমাদের স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা ভেজাল মেশাচ্ছেন তারাও নিরাপদ নয়।
আসছে রমজান ঘিরে রাজধানীর অলি-গলিতে ছোট্ট ইফতারির দোকানগুলো সরকার কেনো অনুমোদন দেয় তা প্রশ্ন রওশনের। এসব দোকানে ভেজাল ইফতারি বিক্রি করা হয় বলে জানান তিনি।
ভেজালবিরোধী আইন খুব একটা কার্যকর নয় দাবি করে তিনি বলেন, যে আইন আছে তার প্রয়োগ খুব একটা দেখছি না।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রওশন এরশাদ বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুরের আনারস সবচেয়ে ভালো। একদিন আমি বাগান থেকে ভালো আনারস কেনার জন্য যাই, সেখানে দেখতে পাই আনারসে হরমোন মেশানো হচ্ছে। আমি মিশ্রণকারীদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আনারস দ্রুত বড় হবে। এক রাতের মধ্যে পট পট পট করে বড় হয়ে যাবে। এই যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে তরুণ প্রজন্ম মেধাবী হবে কি করে।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জে দুধ ছাড়াই দুধ বানানো হচ্ছে। খেজুরের রস ছাড়াই খেজুরের গুড়, আখের রস ছাড়াই হচ্ছে আখের গুড়। এভাবে জাতিকে দিন দিন মেধাহীন করা হচ্ছে।
রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা কাজে প্রতি বছর মাত্র কয়েকটন ফরমালিন প্রয়োজন হলেও আমদানি করা হচ্ছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। এই ফরমালিন কারা আমদানি করছে, কোথায় যাচ্ছে ফরমালিন? বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ভেজালবিরোধী আইন করে গেছেন। তখন তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছিলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল মেশাবে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, তাহলে সেটা কার্যকর হচ্ছে না কেনো?
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চাইলে একদিনেই এসব বন্ধ করতে পারেন। তবে তিনি কেনো করছেন না?
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫/আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা
এসএম/এএ