ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ হান্নান শাহের

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ হান্নান শাহের ছবি: রাজিব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সংবাদ পত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন।

হান্নান শাহ্ বলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল সরকার আইন করে সংবাদপত্র বন্ধ করেছিল, আর বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা হুমকি-ধামকি দিয়ে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতাসীনেরা আইন করে না হলেও পরোক্ষভাবে সংবাদপত্র বন্ধ করে জাতির বিবেককে দাবিয়ে রাখতে চায়।

তিনি বলেন, পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। বাকশাল সরকারের অনেকে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। তাদের বাকশালের সেই ধারা এখনও আছে। যারা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা সংবাদপত্র দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা জানে কোনো সময়ে তাদের কীর্তি ফাঁস হয়ে গেলে তাদের ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের টার্গেট গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এতোদিন হয়ে গেল, সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি। বিচারতো দূরে থাক, হত্যাকারীরা আজও ধরা পড়েনি। এসব সম্ভব হয়েছে, হত্যাকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সখ্য থাকায়।

প্রেসক্লাবের চলমান বিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে প্রেসক্লাবে দেওয়াল তুলে দিতে চান। সাংবাদিকদের ঐক্য ভেঙে দিতে চান। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন। এখন অনেকে তার নাম শুনতে পারেন না।

বিএনপির এই নেতা বলেন,  ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার সমর্থিত চারটি পত্রিকা ছাড়া দেশের সবক’টি পত্রিকা প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশের সচেতন মহল ও সংবাদপত্রের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন। সেটা জাতীর জন্য কালো দিবস শুধু নয়, কলঙ্কও বটে। জিয়াউর রহমান সংবিধানে এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে বাকশাল সরকারের সব ধরনের অগণতান্ত্রিক কালো ধারা বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।

ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহীম (বীর প্রতীক), দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।