বগুড়া: মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃতদণ্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকা হরতালে সাড়া নেই বগুড়াবাসীর।
বুধবার (১৭ জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া হরতাল সমর্থনে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের কোথাও কোনো পিকেটিং করত দেখা যায়নি।
এদিকে নাশকতার অভিযোগে সকালের দিকে শহরের সেউজগাড়ী এলাকা থেকে কামাল হোসেন (২২) নামে এক শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা ঘিরে অন্য দিনের মতো সকাল থেকেই ছিলো যানজট। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও স্থানীয় রুটের যানবাহনগুলো প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে। মালবাহী ট্রাক চলাচলও ছিলো স্বাভাবিক। অফিস-আদালত রয়েছে খোলা। ব্যাংক-বিমার লেনদেনও যথারীতি চলেছে অন্য দিনের মতো।
তবে শহরের ঠনঠনিয়ার আন্তঃজেলা বাস ও চারমাথার কোচ টার্মিনাল থেকে নামিদামি সার্ভিসের কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। সীমিত আকারে বিভিন্ন রুটে সাধারণ যাত্রীবাহী বাসগুলো চলাচল করেছে।
অপরদিকে যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে মাঠে থাকতে দেখা গেছে।
জামায়াত অধ্যুষিত বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থান, শেরপুর, শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকাকে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান একজনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, পুরো জেলায় পুলিশের এক হাজার পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। তারা দুই শিফটে এ দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া ৠাবের দু’টি টিম তিন শিফটে পুরো জেলা নিরাপত্তার কাজ করছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এমবিএইচ/এএ