ঢাকা: যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মুক্তির দাবিতে বুধবার জামায়াতের ডাকা টানা ২৪ ঘণ্টার হরতালে সাড়া দেয়নি জনগণ।
রাস্তায় যান চলাচল ছিলো আর সব কর্মদিবসের মতোই স্বাভাবিক।
তবে সময়ে সময়ে ইমেইল বার্তায় সংবাদমাধ্যমে ঠিকই টুকটাক মিছিল-বিক্ষোভের খবর পাঠিয়েছে জামায়াত।
এমনকি ওইসব বার্তায় ‘স্বত:স্ফূর্ত’ হরতাল পালনের জন্য জনসাধারণকে ধন্যবাদও দিয়েছেন জামায়াত নেতারা।
অথচ হরতালে রাজধানীসহ পুরো দেশের সরেজমিন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বুধবার অন্যান্য দিনের মতই কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। রাজপথেও যথারীতি যানজট,ভিড়,হট্টগোল। খোলা দেখা গেছে অফিস, আদালত, মার্কেট, কলকারখানা। একই অবস্থা সারা দেশেই।
সারা দেশের এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও জামায়াত ও শিবিরের পূর্ণাঙ্গ ও সংগঠিত কমিটি রয়েছে বলে দলটির নেতৃত্বের মধ্যে এককালে চাপা গর্ব থাকলেও, দলের সেক্রেটারি জেনারেলের ফাঁসির প্রতিবাদে ডাকা হরতালেও মাঠে নামেনি অধিকাংশ শাখা এবং নেতাকর্মী।
দেশের মাত্র কয়েকটি স্থানে ফটোসেশনের মতো ব্যানার হাতে অল্প ক‘জনের তোলা ছবিই কর্মসূচি পালন বলে চালিয়ে দিচ্ছে জামায়াত ও শিবির।
মাঠে না থেকে হরতাল পালনের এসব ফটোসেশনের কর্মসূচি তারা প্রচারে ব্যস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ পরিস্থিতিতে তাই প্রশ্ন উঠেছে, যে মারদাঙ্গা ক্যাডারবাহিনীর বলে বলীয়ান হয়ে জামায়াত শিবির এতদিন রাজপথে ‘হ্যান করেঙ্গা, ত্যান করেঙ্গা’ বলে হুঙ্কার দিতো তাদের সেই ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা আজ কোথায়?
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জনবিরোধী পেট্রোলবোমার রাজনীতির কারণে গণধিকৃত হয়ে তারা আজ জনগণ এমনকি সহানুভূতিশীলদের থেকেও বিচ্ছিন্ন। এই নামসর্বস্ব হরতাল তারই প্রতিফলন।
তাই জামায়াতের হরতাল আজ শুধুই প্রেসরিলিজ ও বিজ্ঞপ্তি সর্বস্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ১৭,২০১৫
এলকে/আরআই/জেডএম