ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

রমজানে মাসব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫
রমজানে মাসব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রমজানে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে রাজধানীর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম বিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।



ভেজাল খাদ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে অর্থ ও কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় অসাধু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা যাতে ভেজাল-নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য এবং পানীয় সরবরাহ করতে না পারে সেজন্য বিএসটিআই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরে প্রতিদিন চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। ঢাকার বাইরে কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাইসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।

এছাড়া সারাদেশে বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
 
সেহরি ও ইফতারে ব্যবহৃত ৩০টি পণ্যের ওপর গরুত্ব দিয়ে এ ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি জানান, ৩০টি খাদ্যপণ্যের নমুনা ইতোমধ্যে বাজার থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে-মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিঙ্ক, পাউডার, ফ্রুট জুস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, পানি এবং ফল উল্লেখযোগ্য।
 
মন্ত্রী জানান, যদি খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোজার মাস থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযান সারা বছর চলবে এবং তা আরও জোরদার হবে।

খাবার পানি বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রোজাদারদের নিরাপদ পানি দিতে ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলো অঙ্গীকার করেছে। তবুও আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।
 
এ সময় অসাধু খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, খাদ্যপণ্যে ভেজালে ক্ষতির বিষয়ে আপনাদের (উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী) শুদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ আপনাদের ওপর কোনো না কোনোভাবে এ ক্ষতির প্রভাব পড়ে।

ভেজাল খাদ্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা এভাবে ভাবলে সমস্যা হতো না। তিনি ব্যবসায়ীদের সচেতন থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।
 
মন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিএসটিআই সারা বছর অভিযান পরিচালনা, জরিমানা করে থাকে। তার কিঞ্চি‍ৎ পরিমাণ মিডিয়ায় আসলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্তক ও সচেতন হতেন।
 
বিএসটিআইয়ের গত ১১ মাসের (জুলাই ২০১৪-জুন ২০১৫) অভিযান সম্পর্কে আমু বলেন, ১১ মাসে ৭৫৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বিএসটিআই।
 
এর মধ্যে ১ হাজার ১০৫টি মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি হয়েছে। ৬১২টি সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনা এবং আরও ১৬১টি মামলা রয়েছে। এ সময় ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা এবং ৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-শিল্পসচিব মো. মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া, বিএসটিআই মহাপরিচালক একরামুল হক, পরিচালক কমল প্রমাদ দাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫ (আপডেট: ১৩৫১)
আরইউ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।