ঢাকা: দেশের গুদামে পর্যাপ্ত গম থাকার পরও বিভিন্ন দেশ থেকে পচা গম কেনায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।
আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করে জানতে চান, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে পচা গম কেনার নায়ক কারা? কাদের স্বার্থে পচা গম কেনা হচ্ছে? এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যমন্ত্রীকে সপদে বহাল রেখে তদন্ত সুষ্ঠু হবে না। তাই, তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার দাবি করছি।
চোরের খনি আওয়ামী লীগের পিছু ছাড়েনি মন্তব্য করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন সরকারের উদ্দেশে জানতে চান, সরকার কি আওয়ামী লীগের, নাকি জনগণের?
তিনি বলেন, দলের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রী, এমপিদের পকেট ভারী করার জন্য পচা গম কেনা হচ্ছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান কয়েক লাখ টন গম কেনার কথা বলেছেন, প্রতি কেজিতে ১০ টাকা লাভ পাবেন বলে।
গম কেনা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, লুটপাটের সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে। তাই, সরকারকে বলবো, অতিরিক্ত গম কেনা বন্ধ করুন। আর পচা গম কেনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
অপরদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলীর পদত্যাগ চেয়ে তিনি বলেন, বিজিবি নায়েক রাজ্জাকের বিষয়ে মায়ানমার সরকার ও কূটনীতিকদের সঙ্গে আপনার কী কথা হয়েছে, তা জনগণকে জানান। যদি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি করতে না পারেন, ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করুন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিজিবির নায়েক রাজ্জাক পাঁচ দিন ধরে মায়ানমারে আটক আছেন। বিজিবি প্রধান এম এ আজিজ বিরোধীদলের আন্দোলনের সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য দিয়েছেন; যা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। তার পোশাকের সঙ্গে একেবারেই যায় না। এখন আপনার অবস্থান জানতে চাই। আপনার সঙ্গে বিজিপির কী আলোচনা হয়েছে, তা জনগণকে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, যুব বিষয়ক ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহশিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহজাদা মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
এমএম/এবি