ঢাকা: রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সাংগঠনিক বইসহ চার শিবিরনেতাকে আটক করেছে র্যাব গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-২।
আটক চার শিবিরনেতা হচ্ছেন-মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ জায়েদ বিন ছাবিদ, মিরপুর বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি সুলতান মাহমুদ ওরফে রিপন, ছাত্রশিবির মতিঝিল থানার সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন ওরফে রাজু এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইমরান ওরফে মাসুদ।
এ সময় একটি শাটারগান, স্থানীয়ভাতে প্রস্তুত ছয়টি বোমা, শাটারগানের পাঁচটি গুলি, ১২টি পেন্সিল ব্যাটারি, পাঁচ প্যাকেট বিস্ফোরক, সাংগঠনিক বই-পুস্তক, চাঁদা আদায়ের রশিদ, বিদেশে কথা বলার কলিং কার্ড, তিনটি মোবাইল ফোনসেট এবং নগদ পঁচানব্বই হাজার টাকা এবং হিযবুত তাহরীরের বেশ কিছু পুস্তক উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-২’র একটি যৌথ দল রাত আটটার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার রতনপুর এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ জায়েদকে আটক করে।
পরে আব্দুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দশটায় মিরপুর-১ থেকে সুলতান মাহমুদকে আটক করা হয়।
এ দু’জনের দেওয়া তথ্যে রাত বারোটায় মতিঝিল থেকে আটক করা হয় রাজুকে। এরপর মোহাম্মদপুরে আব্দুল্লাহর পরিচালিত ছাত্রশিবিরের একটি মেস থেকে আত্মগোপনে থাকা মাসুদকে আটক করা হয়।
র্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কর্নেল সোহায়েল জানান, শীর্ষ জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যেকোন মুহূর্তে দলটির অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নাশকতা চালাতে পারেÑগোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে র্যাব গোয়েন্দা শাখা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে চার শিবির নেতাকে গাজীপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০