ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নির্বাচনে যেন সরকারি হস্তক্ষেপ না হয়’

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
‘নির্বাচনে যেন সরকারি হস্তক্ষেপ না হয়’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সরকার যেন হস্তক্ষেপ না করে, নির্বাচন কমিশন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে- সে দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করারও দাবি জানান তিনি।



বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব দাবি জানান তিনি।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। জোটের সমন্বয়ক হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে পৌর নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটগতভাবে প্রচার-প্রচারণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তবে জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা করবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে ফখরুল বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু বিষয়ে সমস্যা আছে। সেগুলোর সমাধান স্থানীয়ভাবেই করা হবে।  
 
ইতোমধ্যে রংপুর-দিনাজপুরে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০ দলীয় জোট প্রচারণা শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র আজ সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেরই অংশ।

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, অতীতের কর্মকাণ্ডে তাদের ওপর আস্থা রাখা কঠিন। এখনও নির্বাচন কমিশন অযোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যদি ভোট দেওয়ার পরিবেশ থাকে, সরকার হস্তক্ষেপ না করে এবং সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন, তাহলে পৌর নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হবে।
 
নির্বাচন কমিশনকে তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বানও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল জানান, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণা বন্ধের দাবিতে দু’একদিনের মধ্যেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে যাবে।  
 
বৈঠকে  উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন একরাম, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, মুসলীম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বিজেপির মহাসচিব আব্দুল মতিন, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও  ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস।

তবে বৈঠকে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এমএম/আরএম/এএসআর

** ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠক চলছে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।