শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সদুল্লাপুর গ্রামের সুজনের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য দেলায়ার হোসেন ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক। তার স্ত্রী দিলরুবা ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
এ ঘটনার পর বাগেরহাট শহরে মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন দিলরুবা রাত ১২টায় জানান, রাতে মোটরসাইকেলে পোলের হাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি ও তার স্বামী। পথে সুজনের দোকানের সামনে দাঁড়ান তারা। ওই সময় প্রতিবেশী কামরুল শেখ (৩৩) তার স্বামীর চোখের দিকে টর্চ লাইট জ্বালালে তিনি লাইট অফ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি তাদের মারধর করেন এবং তার কাছে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তার স্বামীর মাথায় কোপ দেন। এসময় সেখানে থাকা কামরুলের বাবা মো. নুরুদ্দিন শেখ (৫৩), মা সাবেক ইউপি সদস্য খাদিজা বেগম (৪৮), নুরুর চাচা সাখাওয়াত হোসেন সকু (৫৫), ভাই সেকেন্দার শেখ (৪৫) ও আজিজ শেখও (৪৩) ওই দম্পতিকে মারধর শুরু করেন।
এসময় হামলাকারীরা দেলোয়ারের কাছে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন ও ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেণ দিলরুবা খানম।
তিনি বলেন, আমার স্বামী একটু সুস্থ হলেই আমি মামলা করবো।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মশিউর রহমান জানান, দোলোয়ারের মাথায় কাটা দাগসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।
ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব আছাদ হাওলাদার, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনায়েত হোসেন জানান, দিলরুবা ও দেলোয়ারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ৫৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসআই