রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের সময় সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।
এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান— নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধি থাকার সুযোগ আছে কি-না? উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা আসেনি। গত সংসদে তাদের প্রতিনিধি ছিল। আগে দেখি এবার তারা দাবি জানায় কি-না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছিলাম তারা সরকারের অংশীদার হোক। তারা আসেনি। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে ঘৃণা করে। যারা ঘৃণা করে তারা কি বিএনপিকে ভোট দেবে?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপির মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে, কে বেশি সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারে। তাহলে হাইকমান্ডকে খুশি করা যাবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বললেন খুব শিগগিরই তারা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দেবেন। আবার বিএনপির সিনিয়র নেতা (ব্যারিস্টার) মওদুদ আহমদ একইদিন বললেন, প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিতে হবে? ফখরুল বললেন এক কথা, আবার মওদুদ আহমদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দাবি করলেন। তারা তো নিজেরাই ঠিক নেই। দ্বিচারিতা করছেন, স্ববিরোধী কথা বলছেন। তারা আগে নিজেরা ঠিক করুন, তারা কী চান। তারা সহায়ক সরকারের রূপরেখা আগে দিন দেখি।
নির্বাচনে আসা বিএনপির অধিকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার কোনো বিষয় নয় এটা। দু’টি সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে। এরপরও তারা নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলছে। তারা যে ধরনের কথা বলছে, তাদের কাছে নির্বাচন কমিশন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ৩শ’ আসনই দিতে হবে, তাহলে তারা খুশি হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যে ধরনের কথা বলছে, তাদের এসব কথা শুনে মনে হয় নির্বাচন বানচালের দুরভিসন্ধি তাদের মধ্যেই রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮, আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা
এসকে/আরবি/