শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা মাহমুদ উস সামাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলি এলাকায় একটি বর্ধিত সভায় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সড়ক অবরোধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন।
তিনি বলেন, ওই সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা আহত ও তার গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এর আগে ওই সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত ৯০ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সফরকে সামনে রেখে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগ ওই বর্ধিত সভা করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভায় অতিথিদের নাম বলার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা বজায় না রাখার অভিযোগে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর জের ধরে কয়েস ও হাবিব গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় সাইস্তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-০০৯৪) ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
এনইউ/এইচএ
** সিলেটে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০