ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেটে এমপি সামাদ বিরোধীদের সংবাদ সম্মেলন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
সিলেটে এমপি সামাদ বিরোধীদের সংবাদ সম্মেলন  সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আবু জাহিদ। ছবি: বাংলানিউজ 

সিলেট: সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অসহযোগিতার কারণে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন ওই উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ। 

তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি পাহাড়সম হলেও নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। একমাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালটিও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি।

সিলেট- সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের ২২ কিলোমিটারের অবস্থা করুন। এই রাস্তা নিয়ে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, রাস্তা নদী হয়ে গেলেও তার কিছু যায়-আসে না।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) নগরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবু জাহিদ এসব  অভিযোগ করেন।  

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এমপি মাহমুদ উস সামাদ নিজের বলয় সৃষ্টির জন্য আজ্ঞাবহ লোকদের নিয়ে চলায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আধিপত্য ধরে রাখতে দলীয় প্রতিনিধিত্বে হাইব্রিডদের জায়গা করে দিয়েছেন। আর বঞ্চিত হয়েছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। যে কারণে সাংগঠনিক অবস্থাও করুন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু জাহিদ বলেন, এমপি সামাদের মদদে সরকার বিরোধীরা উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লুটপাট করেছে। দক্ষিণ সুরমায় ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগটিও ভেস্তে গেছে তার অদক্ষতায়।  

তার অভিযোগ, এমপি সামাদের বাবা দেলোওয়ার হোসেন ওরফে ফিরু রাজাকার ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের  হত্যা ও অমানুষিক নির্যাতন করেন বলেও এলাকার মানুষজন জানেন।  

তিনি অভিযোগ করেন, এমপি সামাদের অসহযোগিতা ও রোষানলে পড়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকার উন্নয়ন কাজ করতে পারছেন না।  

আবু জাহিদ বলেন, সিলেট-৩ আসনের মানুষ এমপির ওপর ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ আওয়ামী নেতাকর্মীরাও। তাই আগামী নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইছ আলী, মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম ইছন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

তবে নিজে প্রার্থী হওয়া ও বিধি অনুযায়ী স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শে কাজ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান আবু জাহিদ।  

এদিকে যোগাযোগ করা হলে এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, এই বিরোধিতাকারীরা ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাকে ভোট দেয়নি। আগামীতেও ভোট দেবে না। তাদের আমার সঙ্গে দেখলে প্রকৃত নৌকা প্রেমী ভোটাররা আমার সঙ্গ ত্যাগ করবেন।  

‘আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দিলে এদের সমর্থন ও ভোট আমার কাম্য নয়। প্রতিবার নির্বাচনের আগে এসব মানুষ টাকা খাওয়ার জন্যে এমন অভিনয় করেন। ’

তিনি বলেন, আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক। অনেক মুক্তিযোদ্ধাও বাবার পরামর্শে যুদ্ধে গেছেন।  

স্বাধীনতার পর তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন সিলেট-৩ আসনে কেউ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এনইউ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।