সোমবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল এ মন্তব্য করেন।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’র নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ‘চরিত্রহীন’ মন্তব্য করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
টকশোর ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ব্যারিস্টার মইনুল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট করেছিলেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাজনীতি করেন। ব্যারিস্টার মইনুল ২০০৫ সালে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের দুর্ধর্ষ ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের অনুষ্ঠানে গিয়ে সেই দলের ও কর্মীদের প্রশংসা করেছিলেন। ’
‘যে লোক ’৭১ এর খুনি, লুণ্ঠনকারী, ধর্ষকদের প্রশংসা করতে পারে, ’৭৫ এর খুনিদের সঙ্গে রাজনৈতিক আঁতাত করতে পারে, সে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন’- বলেন তোফায়েল।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে শিবিরের প্রশংসা করার বিষয়ে ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রশ্ন করাতেই তিনি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলেছেন। মইনুল একজন ব্যারিস্টার ও শিক্ষিত মানুষ হয়ে সম্মানিত নারী সংবাদকর্মীকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তা নিন্দনীয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
আরএম/এইচএ/