ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলেন কেন, ড. কামালকে নাসিম 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলেন কেন, ড. কামালকে নাসিম  ড. কামাল হোসেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ফাইল ফটো

ঢাকা: জোট করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোক্তা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন কেন পুনবার্সনের দায়িত্ব নিয়েছেন? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এর জন্য দুঃখ হয়, লজ্জা হয়।

শনিবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ড. কামাল হোসেন এই বৃদ্ধ বয়সে কি কারণে, কিসের লোভে তাদের (বিএনপি নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিরোধী জোট) পুনবার্সনের দায়িত্ব নিয়েছেন। দুঃখ হয়, লজ্জা হয়।  

চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় চার নেতা কোন দিনও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এক বিন্দুও বেইমানি করেননি, কারারুদ্ধ হয়েছেন আপোষ করেননি। বারবার নির্যাতিত হয়েছেন, ছায়ার মতো, বন্ধুর মতো এই চার জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন।

‘যখন জীবন দেওয়ার প্রশ্ন আসলো, এক বিন্দু নতি শিকার করেননি, আত্মউৎসর্গ করেছেন নিজেকে। জাতিকে কলঙ্কমু্ক্ত করেছিলেন সেদিন তারা। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অন্তত চার জন নেতা আছে- জীবন দিতে পারে। কিন্তু সারেন্ডার করবে না। ’ 

নাসিম বলেন, সারা দুনিয়া দেখেছে কয়েকজন বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিল। কয়েকজন বিশ্বাস ঘাতক হাতে অস্ত্র থাকা সত্বেও গুলি ছুড়তে সাহস পায়নি। এরা সব কাপুরুষের দল।  

‘এই চারজন নেতা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আছেন, চিরদিন ছিলেন। চার জাতীয় নেতাকে অনুসরণ করতে হবে। লোভের কাছে, ভয়ের কাছে কেউ কখনো আত্মসমপর্ণ করবেন না। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আমরা প্রমাণ করবো আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে আছি,’ যোগ করেন নাসিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।