শনিবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টিটি কলেজ মিলনায়তনে রাজশাহী মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শোকবহ জেল হত্যা দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
লিটন বলেন, আমার বাবা শহীদ কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতাকে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে গড়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বাংলাদেশ হয়েছি, এটি পাকিস্তান মেনে নিতে পারেনি, এখনো পারছে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদের স্বাধীনতার অর্জন ম্লান করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার প্রমাণ পাওয়া যায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে। সেই অপশক্তির অপতৎপরতা থেমে নেই। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় চার নেতার মধ্যে পার্থক্য বের করা কঠিন। কারণ তারা সবাই অসাধারণ-অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত বিশ্বস্ত, ঘনিষ্ঠ ও ভালোবাসার পাত্র। তারা যে বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার পাত্র ছিলেন, তা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কখনো বেঈমানি করেননি। কিন্তু ১৯৭১ যারা পরাজিত হয়েছিলো, তারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুছে ফেলতে চেয়েছিল। খুনীদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবার ভরসা হয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। তবে আমাদের সেই অপশক্তির ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রমাণিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সঞ্চালনায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনাসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় চার নেতার জীবনী পাঠ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এসএস/এনটি