রোববার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ চলছে, সেই সংলাপে এখনও পর্যন্ত সংকট সুরাহা না হওয়ার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড় করছে নির্বাচন কমিশন-যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শনিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তফসিল পেছানোর আবেদন করা হলেও ইসির সচিব তা অস্বীকার করে বলেছেন, তারা কোনো চিঠি পাননি। এ সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নিজ আইনসঙ্গত ক্ষমতাবলে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন।
সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার পুলিশ বাছাই করছে দাবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ তালিকা ধরে ধরে কারা সরকার দলীয় সমর্থক তাদের নাম বাছাই করছে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে যাচাই করছে, ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে আপনি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য। যদি কোনো শিক্ষক বিএনপি সমর্থক হয়ে থাকে তাকে বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের দরকার নেই। জনগণ এমন কর্মকাণ্ডকে ভোট কারচুপির পূর্ব প্রস্ততি বলেই মনে করছে। সরকারের হুকুমেই এমন নজিরবিহীন কর্মকাণ্ড চলছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার পর এখন দেশজুড়ে গণগ্রেফতারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। সর্বব্যাপী নিপীড়ণের ধারায় বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গণগ্রেফতারের সঙ্গে চলছে রমরমা অর্থ-আদায় বাণিজ্য।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, মুনীর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএইচ/আরবি/