তিনি বলেন, যেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিন থেকেই নির্বাচন কমিশন আর প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের অধীনে থাকেবে না। কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবে।
রোববার (০৪ নভেম্বর) রাতে সম্প্রসারিত যুক্তফ্রন্টের প্রথম বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বি. চৌধুরী বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার আমরা কায়েম করবোই।
সংলাপে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বেশিরভাগ দাবি-দাওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন উল্লেখ করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার আমাদের দাবির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের অধীনে থাকবে না, তফসিল ঘোষণার পর রাষ্ট্রপতির অধীনেই থাকবে। এ সব ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দ্বিমত নেই।
‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির সঙ্গে একমত হয়েছেন যে নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই ন্যাস্ত থাকবেন। তফসিল ঘোষণার পর এমপিরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন বা প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে’।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী দিতেই হবে এ কথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, সংলাপের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেনাবাহিনী উপজেলা পর্যায়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এ ব্যাপারে অধ্যাদেশ হয়ে গেছে। তবুও তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলবেন।
আজকের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক বৈঠক এটি, আমাদের মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে। এখানে একটি সেক্রেটারিয়েট কমিটিও থাকবে। যুক্তফ্রন্টের শরিক দলের সমন্বয় কমিটি গঠন এবং একজন মুখপাত্রও নির্বাচন করা হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী এবং আগামী সংসদে ছেলে মাহী বি. চৌধুরীকে দেখতে চান বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী’-- একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশিত এ খবর সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বি. চৌধুরী বলেন, এটা সর্বৈব মিথ্যা।
পরে বি. চৌধুরী সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান সূচনা বক্তব্য দেন।
এ সময় যুক্তফ্রন্টের শরীকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএলডিপি’র চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেইন ঈসা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ মো. আসাদুজ্জামান, মহাসচিব এম আশিকুজ্জামান, বাংলাদেশ জন দলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মহাসচিব সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসিন ভূইয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ