রোববার (নভেম্বর ৪) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য শরিকরা তাদের এ অবস্থানের কথা জানায় বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকে ১৪ দল শরিক নেতারা বলেছেন, নির্বাচন যথা সময়ে সংবিধান অনুযায়ী করতে হবে।
তারা বলেন, সংবিধানের বাইরে কোনো বিষয় আমরা মানবো না। সংবিধানের বাইরে কারো কোনো দাবি মানার সুযোগ নেই।
সূত্র জানায়, সভায় ১৪ দলের শরিক দলগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। শরিক দলগুলোর নেতারা প্রত্যেকেই সভায় বক্তব্য দিয়েছেন এবং প্রত্যেকেই এই একই সুরে কথা বলেছেন।
নেতারা বলেছেন, নির্বাচনে সব দলকে আনান চেষ্টা করতে হবে। সেটা না হলে যত বেশি সংখ্যক দলকে অংশগ্রহণ করানো যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। তবে সেটা সংবিধানের বাইরে গিয়ে নয়, কোনো অসাংবিধানিক দাবি মেনে নিয়েও নয়। সংবিধান সমুন্নত রেখে নির্বাচন করতে হবে।
শরিক নেতারা বৈঠকে বলেন, নির্বাচনের সময়ও আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ থাকবে। সংসদ যেভাবে আছে সেভাবেই থাকতে হবে। আমাদের আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে। আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ক্ষমতায় থেকেই পালন করবো।
আসন বণ্টনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন ১৪দল নেতারা। সব দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে ১৪ দলের নেতারা বলেছেন এটা আইনের, আইন অনুযায়ী যেটা হয় হবে।
সূত্র আরও জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচন করবে। এটা নিয়ে দুচিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের আবার ক্ষমতায় আসতে হলে সবাইকে মানুষের কাছে যেতে হবে, দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে অসমাপ্ত কাজগুলো রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করতে হলে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। আমরা যে গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ধারা প্রতিষ্ঠা করেছি চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
আগে রাত সোয়া আটটার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের শরিক নেতারা ১০টা পর্যন্ত বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এসএইচ