তিনি বলেন, প্রলয় আসছে, চোখ বন্ধ করে থাকলেও এই প্রলয় বন্ধ হবে না। ভাবতে পারেন গুম-খুন-গ্রেফতার করলে আন্দোলন থেমে যাবে।
হায়নার হাত থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিন বলেন, আর মাত্র কয়েকটি দিন আন্দোলন করবো এবং এই সরকারকে জায়গামতো পাঠিয়ে দেব।
মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় এসব কথা মির্জা আব্বাস।
জনসভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির কারণে সরকারের উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দশ মাসে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ হত্যা করছে বিনাবিচারে। তাই রাষ্ট্রের মেরামত করা দরকার।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যেভাবে হাজার হাজার লোক হাজির হয়েছেন, আপনাদের কার কী দায়িত্ব তা মনে রাখতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাই ভোটের দিন এভাবে হাজার হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
জনসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সদ্যপ্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জনসভার মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন ফারুক, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএইচ/এসএম/ইএআর/এসকেবি/এইচএমএস/এমজেএফ