ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সাত দফা দেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
‘সাত দফা দেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা | ছবি: ডিএইচ বাদল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি দেশের জনমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনারা কি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? আপনারা কি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান? 

সরকার ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি না মানলে সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন,  ঐক্য গঠন করার পর সিলেট-চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম, সব জায়গায় মানুষ এখানকার মতো বলেছে- নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, আমরা ভোট দিতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের এক নম্বর কথা শেখ হাসিনা, বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচন হবে না। সংলাপে গেলাম, আমাদের কোনো দাবি মানতে চায় না কিন্তু বলে- সুষ্ঠু ভোট চায়। দাবি নিয়ে আবার যেতে চাই, এবার মুখ মুখে নয়, লিখিত রাখতে চাই।

মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। বিএনপির একজন নেতা-কর্মীকেও ঘরে থাকতে দিচ্ছে না।  

তিনি বলেন, প্রলয় আসছে, চোখ বন্ধ করে থাকলেও এই প্রলয় বন্ধ হবে না। ভাবতে পারেন গুম-খুন-গ্রেফতার করলে আন্দোলন থেমে যাবে। কিন্তু না আন্দোলন থামবে না।

হায়নার হাত থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আর মাত্র কয়েকটি দিন আন্দোলন করবো এবং এই সরকারকে জায়গামতো পাঠিয়ে দেব।

জনসভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতির কারণে সরকারের উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দশ মাসে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ হত্যা করছে বিনাবিচারে। তাই রাষ্ট্রের মেরামত করা দরকার।

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যেভাবে হাজার হাজার লোক হাজির হয়েছেন, আপনাদের কার কী দায়িত্ব তা মনে রাখতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাই ভোটের দিন এভাবে হাজার হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন। আপনাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।  
জনসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সদ্যপ্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জনসভার মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন ফারুক, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহিম প্রমুখ।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএইচ/এসএম/ইএআর/এসকেবি/এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।