বুধবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে সদর, উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা নেতাকর্মীরা হলেন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম (৩২), একই ইউনিয়নের খিদির বটতলা গ্রামের আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম মাহাম (৩৬), পৌরসভার দিয়ারধানগড়া মহল্লার আহম্মেদ আলী (৪৫), পাইকপাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩৪), মাহমুদপুর মহল্লার আশরাফ আলীর ছেলে যুবদল কর্মী ওমর ফারুক (৩২) ও চর মিরপুর এলাকার শহিদ মুন্সীর ছেলে জুয়েল রানা (২২), উল্লাপাড়া উপজেলার খালিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রাউব (৪৫), কাওয়াক গ্রামের গোলবারের হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২) ও রাজমান দহিখোলা গ্রামের আলামিনের ছেলে হোসেন আলী (২৩) এবং তাড়াশ পৌরসভার তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার মোয়াজ্জেম ফকিরের ছেলে ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব আহম্মেদ
মাসুম (৩৪) এবং একই এলাকার মোবারক ফকিরের ছেলে ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৪০)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, বুধবার রাতে সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-যুবদল ছয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে।
তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গভীর রাতে তাড়াশ পৌরসভায় যুবদলের ভাড়া করা অফিসে নেতাকর্মীরা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা মাসুম ও আনোয়ারকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি পেট্রোল বোমা ও চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ জানান, রাতে বাখুয়া প্রাইমারি স্কুল মাঠে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আব্দুর রাউব, আরিফুল ও হোসেন আলী নামে জামায়াতের তিন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
বৃস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
এসআই