বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রফেসর ডা. মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ-এ স্থানান্তরের আগে তিনি এতটাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তার আইনজীবীদের আইনি লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রবল জনমতের কাছে নতি স্বীকার করে আদালত তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এতে দেশাবাসী স্বস্থিবোধ করে। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথম দিকে দু’দিন তার চিকিৎসার বিষয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জনগণকে অবহিত করলেও পরে তা থেকে বিরত থাকে। গেল এক মাসে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশবাসী কর্তৃপক্ষের ভাষ্য থেকে বঞ্চিত। এ সময়ে দেশবাসী তাদের প্রিয় নেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানার আগ্রহী থাকলেও কর্তৃপক্ষ তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেছে এমন কোনো সুসংবাদ দেশাবাসীকে জানাতে পারেনি। এ অবস্থায় তার চিকিৎসা শেষ না করে কারাগারে স্থানান্তরের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থার কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ব্যাতিরেকেই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে তার যে কোনো ধরনের শারিরীক জটিলতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার জন্য দেশবাসী উদ্বিগ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসএমএমইউ’র সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, অর্থপেডিকস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক প্রফেসর ডা. আব্দুস কুদ্দুস, ডা. একেম আমিনুল হক, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ