তিনি বলেছেন, এখান থেকেই গণবিস্ফোরণ ঘটবে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
শুক্রবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মিনু।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করে বলেন, এখনও দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে তাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনবার সিদ্ধান্ত বদলের পর শেষ মুহূর্তে এসে ১২টি শর্তে মাদরাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্টের জনসভার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
অথচ সংলাপের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সভা-সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। এখানেই শেষ নয়, জনসমাগম ঠেকাতে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটের বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সমাবেশের জন্য মাইকিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। পোস্টার ও ফেস্টুন খুলে নেওয়া হচ্ছে। সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণেও বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে সব বাধা পেরিয়েই এখানে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা হবে।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই শান্তিপূর্ণ সহবস্থানে থাকতে চাই। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আমাদের সাত দফা দাবি জানিয়ে দিয়েছেন। তাই বল এখন সরকারের কোর্টে। আর জনগণই এখন সব ক্ষমতার উৎস। দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিনু বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি ‘জোকারদের কমিশন’। এ কমিশনের ওপর মানুষের কোনো আস্থা নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ এ কমিশন কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি)সিনিয়র সহ-সভাপতি এম.এ. গোফরান, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুন্সি মনির আহম্মেদ বাহার, রাজশাহী জেলা জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহম্মেদ ও মহানগর জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, শাহ মখদুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, মহানগর যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জাকির হাসেন রিমন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/