বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাত সোয়া ৭টায় তফসিল ঘোষণার পর গুলশানে নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
‘এই কমিশন অত্যন্ত সততা ও অান্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। অাশা করি, ঐক্যফ্রন্টসহ সবাই নির্বাচনে অাসবে। কারণ ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। জনগণের ব্যালটে অাস্থা রাখুন, জনগণ যাকে চাইবে, তারাই নির্বাচিত হবে। সুতরাং, নির্বাচনে কারচুপি হবে এমন সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।
মহাসচিব বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে, এটা খুবই ভালো দিক। জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে। অাইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও অাগের চেয়ে ৩ লাখ বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৭ লাখ অাইনশৃংখলা বাহিনীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অামাদের ইভিএম সীমিত পরিসরে ব্যবহারের দাবি ছিল, সেটা নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে। সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনে অামরা অাল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই।
তিনি বলেন, নির্বাচন জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অামাদের পূর্ণ অাস্থা অাছে।
প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে কে মন্ত্রিসভায় থাকবেন, সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা সাংবিধানিক ব্যাপার। সংবিধানের ভেতরেই সবকিছু করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধানের বাইরে গিয়ে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের সুযোগ নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ অাবু হোসেন বাবলা, এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
টিএম/এএ